নাক, কান ও গলা_ এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অর্গান

এর যে কোনো একটি রোগাক্রান্ত হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস হলো মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই'র পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠাণ্ডা, সর্দি, হাঁচি লেগে থাকে এবং নাকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে শৈ্লষ্মিক ঝিল্লি গুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের মাংসপিণ্ড বাড়তে থাকে। এটি দেখতে আঙ্গুরের মতো। এটিকে Nasal Polip বা নাকের পলিপাস বলে। এটি এক বা দুই নাকেও হতে পারে। পলিপাস ও সাইনোসাইটিসের লক্ষণ বারবার হাঁচি, সর্দি থাকা, মাথাব্যথা ও স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, জ্বর জ্বর অনুভব, অরুচি, নাকে ব্যথা, নাক ডাকা, শ্বাসকষ্ট, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, কখনো নাকের মাংসপিণ্ড বাইরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। চিকিৎসা : উপরোক্ত লক্ষণের কোনো রোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে প্রথমে কিছু প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা যেমন_ Blood-এর IGE, Esonophil, ESR এবং X-ray-PNS, Nasopharonix করার পরে নিশ্চিত হয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনুযায়ী লক্ষণ সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করলে যেমন_ S.Nit, S.Cab, Thuga, Lemna, Natmur, Aurum met ইত্যাদি ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সেবন করলে কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই নাকের পলিপাস ও সাইনোসাইটিস্ থেকে একজন রোগীকে আরোগ্য করা সম্ভব। সতর্কতা : এসব রোগীকে সব ধরনের অ্যালার্জিটিক খাদ্য পরিহার, ঠাণ্ডা লাগা, ধূলাবালি থেকে নিরাপদ থাকতে হবে। প্রথম অবস্থায় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস্ ও এজমা দেখা দেয়। কখনো নাকের মাঝখানের হাড্ডি বৃদ্ধি বা বাঁকা হয়ে অর্থাৎ DNS দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে পলিপাস ও সাইনাসের ইনফেকশনজনিত কারণে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ