পোস্টগুলি

অক্টোবর ১২, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নাক, কান ও গলা_ এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অর্গান

এর যে কোনো একটি রোগাক্রান্ত হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস হলো মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই'র পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠাণ্ডা, সর্দি, হাঁচি লেগে থাকে এবং নাকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে শৈ্লষ্মিক ঝিল্লি গুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের মাংসপিণ্ড বাড়তে থাকে। এটি দেখতে আঙ্গুরের মতো। এটিকে Nasal Polip বা নাকের পলিপাস বলে। এটি এক বা দুই নাকেও হতে পারে। পলিপাস ও সাইনোসাইটিসের লক্ষণ বারবার হাঁচি, সর্দি থাকা, মাথাব্যথা ও স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, জ্বর জ্বর অনুভব, অরুচি, নাকে ব্যথা, নাক ডাকা, শ্বাসকষ্ট, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, কখনো নাকের মাংসপিণ্ড বাইরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। চিকিৎসা : উপরোক্ত লক্ষণের কোনো রোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে প্রথমে কিছু প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা যেমন_ Blood-এর IGE, Esonophil, ESR এবং X-ray-PNS, Nasopharonix করার পরে নিশ্চিত হয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনুযায়ী লক্ষণ সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করলে যেমন_ S.Nit, S.Cab, Thuga, Lemna, Natmur, Aurum met ইত্যাদি ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সেবন করলে কোনো প্রকার অস্ত্রো...

সাইনোসাইটিসের হোমিও প্রতিকার

নাক, কান ও গলা_ এ তিনটি অংশের যে কোনো একটি অথবা একত্রে তিনটিই রোগাক্রান্ত হতে পারে। কোনো মানুষের রক্তের Esonophil এবং Serum IGE-এর পরিমাণ বাড়তে থাকলে এমনিতেই ঠাণ্ডা, হাচি, সর্দি লেগে যায়। একপর্যায়ে নাকের ভেতরের মাংস ও টনসিল বৃদ্ধি হয় এবং সব শৈ্লষ্মিক ঝিলি্লগুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। নাকের মাঝে ও কপালের চামড়ার নিচে ৮টি কুঠুরি/স্তর থাকে। এই কুঠুরিগুলোকে বলা হয় সাইনাস। Cold Alargy কারণে এই সাইনাসগুলোতে প্রদাহের সৃষ্টি ও ইনফেকশন হয়। এই প্রদাহ ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাকে সাইনোসাইটিস বলে। সাইনাস সাধারণত চার প্রকার। যথা- Maxylary, Frontal, IIhmoedal and Sphenedal সাধারণত Maxylary and Frontal সাইনাসে ইনফেকশন হয়। মাথার খুলির মধ্যে যে সাইনাস থাকে সেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস মাথার মধ্যে অবস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির বিভিন্ন অঙ্গকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। সাইনাসাটিস দুই ধরনের হয়। একটি Acute (নতুন) অর্থাৎ তীব্র প্রদাহযুক্ত সাইনাস অন্যটি Cronic (পুরনো)। এটি দীর্ঘদিনের, এর প্রদাহটা সাধারণত আস্তে আস্তে হয়। সাইনোসাইটিস সাধারণত ঠাণ্ডা ...

Brest Tumour এর কারণ ?

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় Brest Tumour বা Cancer এর কারণ হিসেবে মায়াজমকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাইকোসিস ও টিউবারকুলোসিস মায়াজম ও সক্রিয় থাকতে পারে। এছাড়া পারিবারিক বা বংশগত ইতিহাসে কারও ক্যান্সার হয়ে থাকলে ওই মায়াজমটি Brest Cancer-এর ঝুঁকিটা আরও বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে ডিজিটাল বিজ্ঞান এখনো স্তনের টিউমার বা ক্যান্সার জাতীয় টিউমারের কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি। তবে কিছু নির্দিষ্ট কারণকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা Brest Tumour-এর কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন যেমন_ * কোনো আঘাতজনিত কারণে স্তনের Tissue বা কোষ নষ্ট হয়ে গেলে * অনেক বেশি বয়সে প্রথমে গর্ভধারণ * বাচ্চাকে যদি স্তনের দুধ পান করানো না হয় * যেসব পরিবারে ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাস পাওয়া যায় * ইস্টোজেন ও প্রজেস্টোরেন হরমোনের আনুপাতিক বৈষম্য তেজষ্ক্রিয় আয়নের প্রভাবের কারণে * মাসিক হচ্ছে একটি বড় কারণ। কম বয়সে মাসিক হওয়া এবং বেশি বয়সে বন্ধ হয়। * এছাড়া রেডিয়েশনের প্রভাবেও টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আধুনিক ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ও কষ্টকর থেরাপি ছাড়াই সুস্থতা লাভ করা সম্ভব। রোগীর ল...

স্তনে ব্যথা কেন হয়?

১. ফাইব্রোএডিনোসিস এখানে হরমোনজনিত কারণে ব্রেস্ট পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটে এবং ছোট ছোট চাকা (নডিউল) ও সিস্টের সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা হয়। ২. মেস্টাইটিস/স্তনের প্রদাহ স্তনে প্রদাহ বা ইনফ্লেমশনকে মেস্টাইটিস বলে। এটা সাধারণত বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়ে থাকে অর্থাৎ ব্রেস্ট ফিড মায়ের হয়ে থাকে। এখানে ব্যথার সঙ্গে জ্বর ও ক্ষুধামন্দা থাকে। ৩. স্তনে এবসেস বা ফোঁড়া ব্রেস্ট প্রচ- ব্যথা হয় ও জ্বর হয় এবং স্তনের চামড়া লাল হয়ে যায়। অপারেশন এ ক্ষেত্রে জরুরি। ৪. স্তনে ক্রনিক ইনফেকশন যেমন টিবি, একটি নোমাইকোসিস ইত্যাদি অসুখ হলেও ব্যথা হতে পারে। ৫. স্তন ছাড়া চেস্ট ওয়ালের অসুখের জন্য স্তনে ব্যথা হতে পারে। ৬. স্তনে টিউমার বা ক্যান্সার হলেও ব্রেস্ট পেইন হতে পারে। ৭. মানসিক অবসাদ স্তন ও চেস্ট ওয়াল ছাড়া মানসিক অবসাদগ্রস্ততার কারণেও স্তনে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক সময় মানসিক সাহায্য বা সাপোর্ট জরুরি। রোগ নির্ণয় : ভালোভাবে ইতিহাস নেয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে স্তনের ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় সম্ভব। রোগীর কাছে জানতে হবে ক. স্তন ব্যথার মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা মাসিকচক্র সম্পর্কহীন। মাসিক চক্রযু...

শরীর থেকে বর্জ্য নিঃসরণ কিডনি ও মূত্রতন্ত্রের মূল কাজ

শরীরে পানি ও লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কিডনি মূত্রতন্ত্র রাখে বিশেষ অবদান। বর্জ্য নিঃসরণে মূত্রতন্ত্রের অপর্যাপ্ত ক্ষমতা বা অক্ষমতায় এসব বর্জ্য শরীরে জমা হয়ে আমাদের শরীরের সুস্থ আবহকে বিঘ্নিত করে। স্বাভাবিক প্রস্রাবের অভ্যাস কেমন? একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় সাধারণত ২ দশমিক ৫ থেকে তিন লিটার পানি বা পানীয় পান করে থাকে। কিডনির কাজ করার ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকলে, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার খুব বড় তারতম্য না হলে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫০০ সিসি প্রস্রাব কিডনি তৈরি করে থাকে। আমাদের শরীর থেকে কিছু পানি ঘাম আকারে, কিছু পানি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে, কিছু পানি মলের সঙ্গে বের হয়ে যায়। যেহেতু আমাদের প্রস্রাবের থলির স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৩০০ সিসি, তাই স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় পাঁচবার প্রস্রাব করে থাকে। সাধারণত দিনে চারবার আর রাতে একবার। তবে নানাবিধ স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কারণে বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা দিতে পারে, আবার কমেও যেতে পারে। যদি আমরা অতিরিক্ত পানি বা তরলজাতীয় খাবার খাই, তবে প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হয়, বারবার প্রস্রাব হয়। বারবার প্রস্রাব হয় ডায়াবেটিসেও। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে বয়োবৃদ্ধির...

গ্যাস থেকে বাচার উপায়

১। আজ যে সময় খাবার খেলেন কালও ঠিক সেই সময়েই খাওয়ার অভ্যাস করুন।এভাবে প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে দিনের ৩ বেলার খাবার গ্রহণ করুন। ২। তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন। যদি তা নাও পারেন সমস্যা নেই। তবে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান। ৩। মাংস,ডিম,বিরিয়ানী,মোঘলাই,চাইনিজ খাবার যাই খান না কেন সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হয় হালকা টাইপের। শাক-সবজি,ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেনু সাজান। ৪। যদি সাইনাসের সমস্যা না থাকে তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানি খান। খুব বেশী ঠান্ডা পানি যেন না হয়। তবে গরম পানি না খাওয়াটাই মঙ্গলজনক। ৫। ভাত খাওয়ার আগে এক বা দু গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তারপরে ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশী পানি খাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝে বেশী করে দেখা যায়। এটা বর্জন করুন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান। ৬। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে গ্যাস তৈরী হবেনা। যেমন-শাক-সবজ...

যৌন জিজ্ঞাসা

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের সহজ বাংলা হলো দ্রুত বীর্যপাত হওয়া। মাঝে মাঝে অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের নিজেদের অথবা তাদের যৌনসঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিতভাবে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরু করার একটু পরে আপনার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। পরিসংখ্যানে ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা যার চিকিৎসা রয়েছে কিন্তু অনেক পুরুষ এ বিষয়ে তাদের চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন। এক সময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান সংক্...