সাইনোসাইটিসের হোমিও প্রতিকার

নাক, কান ও গলা_ এ তিনটি অংশের যে কোনো একটি অথবা একত্রে তিনটিই রোগাক্রান্ত হতে পারে। কোনো মানুষের রক্তের Esonophil এবং Serum IGE-এর পরিমাণ বাড়তে থাকলে এমনিতেই ঠাণ্ডা, হাচি, সর্দি লেগে যায়। একপর্যায়ে নাকের ভেতরের মাংস ও টনসিল বৃদ্ধি হয় এবং সব শৈ্লষ্মিক ঝিলি্লগুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। নাকের মাঝে ও কপালের চামড়ার নিচে ৮টি কুঠুরি/স্তর থাকে। এই কুঠুরিগুলোকে বলা হয় সাইনাস। Cold Alargy কারণে এই সাইনাসগুলোতে প্রদাহের সৃষ্টি ও ইনফেকশন হয়। এই প্রদাহ ও ইনফেকশনজনিত সমস্যাকে সাইনোসাইটিস বলে। সাইনাস সাধারণত চার প্রকার। যথা- Maxylary, Frontal, IIhmoedal and Sphenedal সাধারণত Maxylary and Frontal সাইনাসে ইনফেকশন হয়। মাথার খুলির মধ্যে যে সাইনাস থাকে সেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস মাথার মধ্যে অবস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির বিভিন্ন অঙ্গকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। সাইনাসাটিস দুই ধরনের হয়। একটি Acute (নতুন) অর্থাৎ তীব্র প্রদাহযুক্ত সাইনাস অন্যটি Cronic (পুরনো)। এটি দীর্ঘদিনের, এর প্রদাহটা সাধারণত আস্তে আস্তে হয়। সাইনোসাইটিস সাধারণত ঠাণ্ডা ও ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ও ধুলাবালি ধোয়াযুক্ত পরিবেশে বেশি দেখা যায়। বিভিন্ন কারণে সাইনোসাইটিস হতে পারে। যেমন : নাকের ইনফেকশন, নাকের ভেতর ঝিলি্লর প্রদাহ, নাকের মাংস বাড়া, ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণ, যেমন : Hemofitus, Steptococus and Club sela ইত্যাদি। এছাড়া দূষিত পানি ব্যবহারেও সাইনোসাইটিস হতে পারে। সাইনোসাইটিসের কারণে নাকের পলিপাস (নাকে মাংস ও বাড়া DNS) ও নাকের হাড্ডি বাড়ে। সাধারণত সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীরই নাকের ভেতর মাংস বাড়ে। সেক্ষেত্রে প্রথমে চড়ষরঢ়ং এর চিকিৎসা দিয়ে নাকের ২টা ছিদ্র ব্লক অবস্থান থেকে ফ্রি করে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা শুরু করা ভালো। এতে তাড়াতাড়ি ভালো ফলাফল আশা করা যায়। সাধারণত অন্যকিছু প্যাথিতে অপারেশন ও সিরিঞ্জ দ্বারা পানি ঢুকিয়ে ওয়াসের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে দেখা যায়, বছরে কমপক্ষে দুইবার এ ধরনের ওয়াসের মতো কষ্টকর ট্রিটমেন্ট নিতে হয়। এটি রোগীর জন্য দীর্ঘ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় প্রথমে লক্ষণ অনুযায়ী এলার্জির ওপর চিকিৎসা দিয়ে ৪/৬ মাসের চিকিৎসায় সাইনোসাইটিসের তীব্র কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ওষুধের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে সঠিক ওষুধটি নির্ণয় করে অতি অল্প সময়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। যেমন_ ওষুধগুলো : Rus tox, Sangu-Nit, Sangun cam, Lemna Minor, Sulphur, Casticum, Echinang, Silieias, Natmur, Kali Bichromicum, Auram met ইত্যাদি। আরো জানতে কল করুন ০১৯৩০৭৯০৭৭০

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ